মটরশুটির উপকারিতা ।। মটরশুটি খাওয়ার নিয়ম

মটরশুটি সম্পর্কে কম বেশি সবার জানা। কিন্তু আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব মটরশুটির ভিন্ন কিছু উপকারিতা নিয়ে। যা আপনাদেরকে শুধু অবাক ই করবেনা, বরং আজকের আলোচনার পর একটা মটরশুটির গাছ আপনার বাড়িতে থাকবে তা আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি।
মটরশুটি প্রকৃতি থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা একটি উদ্ভিদ। মটরশুটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় এবং এর উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না।

মটরশুটির উপকারিতাঃ

মটরশুটি দু’ভাবে খাওয়া যায়। পাকা অবস্থায় ও খাওয়া যায়, কাঁচা অবস্থায় ও খাওয়া যায়। আজকে আমি মটরশুঁটির গুনাগুন ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। কিভাবে মটরশুটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।

সবজি হিসেবে মটরশুটির উপকারিতাঃ

বিভিন্ন ধরনের সবজিতে মটরশুঁটি তরকারি হিসেবে রান্না করলে স্বাদে কিন্তু দারুণ হয়। তার পাশাপাশি মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে জাতীয় ক্যারোটিন সমৃদ্ধ উপাদান।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে মটরশুটির উপকারিতাঃ

এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন ভালো হয়, এটি হজমেও সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এ মটরশুটি অনেক বেশি উপকার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন হিসাবে মটরশুটির উপকারিতাঃ

ভিটামিন কে, ভিটামিন এ ও বি উপাদানই মটরশুটিতে বেশি থাকে। ভিটামিন সি ও থাকে। মটরশুঁটির সবজি হিসেবে যেমন খাওয়া যায়, তেমনি বিভিন্ন নাস্তার সাথে উপকরণ হিসাবে মটরশুঁটির ব্যবহার করা যায়, এতে খেতেও ভালো হয় এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সহজে পাওয়া যায়। এবং শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়।

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে মটরশুটির উপকারিতাঃ

কাঁচা মটরশুটি আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এতে করে আমাদের শরীরে রক্তের সার্কুলেশন বা চলাচল স্বাভাবিক থাকে। আর আমাদের চোখ ভালো থাকে। এর পাশাপাশি মটরশুটি কিন্তু শরীরে সুগার লেভেল ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে মটরশুটির উপকারিতাঃ

মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং আমিষ রয়েছে। তাই মটরশুটি খাওয়ার সাথে সাথে শরীরে বাড়তি কর্মোদ্দীপনা পায় এবং কাজ করার আগ্রহ ফিরে আসে।

মটরশুঁটির শরীরে বাতের ব্যথা সারাতে দারুণভাবে কার্যকরীঃ

শরীরে বাতের ব্যথা সারাতে দারুণভাবে কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে মটরশুটি। যাদের বাতের ব্যাথা রয়েছে, তারা কিন্তু নিয়ম করে মটরশুটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

এছাড়াও মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকার কারণে মটরশুটি খাবারের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা যায়। এর পাশাপাশি মস্তিষ্কের উন্নতি সাধনের জন্য এবং স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার ক্ষমতা অর্জন করার জন্য মটরশুটি অনেক বেশি কার্যকরী।

এছাড়াও মটরশুটি পাকস্থলীর ক্যান্সার সারাতে উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি মটরশুঁটি কিন্তু এমনি খাওয়া যায়। এটি খেতে দারুন লাগে।

তাহলে বন্ধুরা, আপনারা বুঝতে পারছেন মটরশুঁটির সহজলভ্য এবং বাংলাদেশের প্রায় মটরশুঁটির উৎপাদন হয়ে থাকে।এবং এতে অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই আপনারা খুব সহজেই সংগ্রহ করে এর উপকারী উপাদান গ্রহণ করতে পারেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment