ভিটামিন ডি হল চর্বিতে দ্রবণীয় একটি সিক্রেট গ্রুপ যা ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফসফেট এর মিশ্রণ, এবং মানবদেহে বিভিন্ন যৌগের প্রভাব সৃষ্টির জন্য দায়ী।
ভিটামিন ডি কোথায় পাওয়া যায়ঃ
ভিটামিন-ডি এর একমাত্র প্রাকৃতিক উৎস হল সূর্যের আলো। যা সকাল বেলায় আমরা আমাদের শরীরে গ্রহণ করে থাকি।
এছাড়াও যে দৈনন্দিন খাবার আমরা গ্রহণ করি তার মধ্যে খুব অল্পসংখ্যক খাবার রয়েছে যে খাবার গুলোতে ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি দেখা যায়,
যে খাবার গুলোতে ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি দেখা যায় এই খাবারগুলো হলঃ
লাল মাংস,
ডিমের কুসুম,
দুধ,
মাখন,
কলিজা,
তেল সমৃদ্ধ মাছ, এই ধরনেআমাদের জীবনে এমন কিছু বিষয় আছে যা সম্পর্কে ভালো কিছু ধারণা রাখা আমাদের খুব দরকার। ঠিক তেমন একটি বিষয় হল আমাদের জীবনে ভিটামিন ডি এর উপকারিতা।
তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে ভিটামিন ডি এর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। ভিটামিন-ডি এমন একটি পুষ্টিগুণ যা সাধারণত আমাদের দৈনন্দিন খাবারে পাওয়া যায়না।
ভিটামিন ডি কিঃ
খাবার গুলোতে সাধারণত ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে কি কি কি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকেঃ
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে হার্ট কে মজবুত করে রাখে,
মাংসপেশিকে সচল করে,
মস্তিষ্কের স্নায়ুর উন্নত বিকাশের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি কিন্তু মারাত্মকভাবে ভূমিকা রাখে, এর পাশাপাশি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে,
শিশুদের ক্ষেত্রে
শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শিশুদের হাড় নরম হয়ে বেঁকে যায়। যাকে সাধারণত আমরা রিকেটস বা পোলিও বলে থাকি।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে
বয়স্কদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে মারাত্মক ধরনের রোগ দেখা যায়। সামান্য বয়স বাড়লে বাতের ব্যথা, আর একটু ঝুঁকে কাজ করলে কোমড়ের সমস্যা।
এই ধরনের সমস্যা কিন্তু আমাদের ভিটামিন ডি এর অভাবে হয়ে থাকে।
বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় নরমালে বাচ্চা ডেলিভারি হওয়ার পরে মা কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারে না, যে কোন ধরনের ভারী কাজ করতে গেলে মেরুদন্ডের সমস্যা দেখা দেয় এগুলো কিন্তু ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণে হয়ে থাকে।
স্মৃতিশক্তি বাডাতেঃ
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে থাকে। আর এর সবচেয়ে বড় কারণ হল ভিটামিন-ডি। ভিটামিন-ডি মস্তিস্ককে উন্নত করতে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন-ডি জাতীয় খাবার রাখতে হবে যদি আমরা উন্নত মস্তিষ্কের অধিকারী হতে চাই।
যেভাবে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে হবেঃ
নিয়মিতভাবে আমরা যদি আমাদের খাদ্য তালিকায় এমন সব খাবার রাখি যে খাবার গুলো ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে।
এবং যত ব্যস্ততার মধ্যে আমাদের দিন কাটুক না কেন সকাল বেলা অবশ্যয় সূর্যের আলো গ্রহন করতে হবে।
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে জন্য কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই এই ভিটামিন ডি এর অভাব শতকরা 80 শতাংশ পূরণ হয় সূর্যের প্রাকৃতিক রশ্মি থেকে।
আমরা আমাদের শরীরের যত্ন প্রকৃতির উপরই ছেড়ে দিতে ভালবাসি। কিন্তু প্রকৃতি আমাদের শরীরকে একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথে শ্রীহীন করে ফেলে।
তাই আমরা যদি আমাদের শরীরকে ফিট রাখতে চাই এবং শরীরের হাড়কে সামর্থ্যবান রাখতে চায় তাহলে আমাদের অবশ্য ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত।
আর এজন্য উপরে যে ধরনের নির্দেশনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম তা প্রতিদিন গ্রহণ করা উচিত ।
